১৷ আপনি কি মুহূর্তের মধ্যে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান? তা হলে পানাহারের পর সন্তুষ্ট চিত্তে বলে উঠুন- اَلْـحَمْدُ لله
হযরত আনাস বিন মালিক রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ পাক সে বান্দাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান, যে খাওয়ার পর তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলে এবং পিপাসায় পানি পান করে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ বলে।” (মুসলিম শরীফ)
২। আপনি কি সমুদ্রের ফেনারাশিসম গুনাহ্ মা’ফ করাতে চান? তা হলে দৈনিক একশ বার পাঠ করুন- سُبْحَانَ الله ِوَبِحَمْدِه
হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি দিনে একশ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ পাঠ করবে, তার গুনাহ্সমূহ (সগীরাহ) মা’ফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের সমগ্র ফেনারাশি সমপরিমাণ হয়।”
(বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
৩। আপনি কি মাত্র দশ সেকেন্ডে লাখপতি হতে চান? তা হলে বাজারের মতো নিকৃষ্ট স্থানে প্রবেশ করে নিম্নোক্ত দু’আটি একবার পড়ুন-
তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসতাদরাকে হাকিম ও ইবনে সুন্নী নামক প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থসমূহে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কোন মুসলমান বাজারে প্রবেশ করে উপরে বর্ণিত দু’আটি পড়ে মহান আল্লাহকে স্মরণ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে উক্ত দু’আর বদলে ১০ লাখ নেকী দিবেন, ১০ লাখ গুনাহ মা’আফ করে দিবেন, ১০ লাখ সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করে দিবেন।
৪। আপনি কি দশটি ক্রীতদাস মুক্ত করার ছাওয়াব, একশ নেকী, একশ গুনাহ্ মা’ফ ও শয়তানের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পেতে চান? তা হলে দৈনিক একশ বার করে পাঠ করুন-
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “যে (নারী-পুরুষ) দিনে একশ বার উপরোল্লিখিত দু’আ পাঠ করে। সে ব্যক্তি দশটি গোলাম আযাদ করার সমতুল্য ছাওয়াব পায়, একশ নেকী তার জন্য লিখিত হয় এবং একশ গুনাহ ক্ষমা করা হয়। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে তার রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা হয়। তার চেয়ে উত্তম আমলকারী আর কেউ হবে না। তবে, সে ব্যক্তি যে এটা তার তুলনায় বেশি পাঠ করে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
৫। আপনি কি একশ জন হাজীর ছাওয়াব, একশটি মুজাহিদগণকে ঘোড়া দেওয়ার ছাওয়াব ও একশটি ক্রীতদাস মুক্ত করার ছাওয়াব পেতে চান? তা হলে সকাল-সন্ধ্যা একশ বার পাঠ করুন-
হযরত আমর বিন শু’আয়ব রহ. নিজ পিতা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলেছেন, “যে লোক সকাল-সন্ধ্যা একশ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ পড়বে, সে ওই লোকের মতো যিনি একশ বার হজ¦ করেছেন। আর যে লোক সকাল-সন্ধ্যা একশ বার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পড়বে, সে ওই লোকের সমান যে একশটি ঘোড়া আল্লাহ তা’আলার পথের যাত্রীদের জন্যে দিয়েছেন। আর যে লোক সকাল-সন্ধ্যা একশ বার ‘লা-
ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ পড়বে, সে ওই লোকের মতো যে হযরত ইসমাঈল আ.-এর বংশধর হতে একশটি গোলাম আযাদ করে দিয়েছেন। আর যে সকাল-সন্ধ্যা একশ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়বে, সেদিনের জন্যে তার মতো আমলকারী আর কেউ হতে পারে না। কিন্তু ঐ লোক যিনি তার অনুরূপ পড়েছেন কিংবা তার চেয়েও বেশি পড়েছেন।” (তিরমিযী শরীফ)
৬। আপনি কি একদিনের আমলের বদলে হাজার বছরের ছাওয়াব পেতে চান? তাহলে দেরী না করে জু’মআবারে মাত্র ছয়টি সহজ আমল করুন।
তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, নাসাঈ শরীফ ও ইবনে মাজাহ শরীফের মতো চারটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য গ্রন্থে হযরত আউস বিন আউস রা. সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান জুম’আবারে ০১. ভালভাবে গোসল করবে, ০২. সকাল সকাল মসজিদে যাবে, ০৩. পায়ে হেঁটে যাবে, ০৪. ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসবে, ০৫. মনোযোগসহকারে খুতবাহ শুনবে, ০৬. অযথা কর্ম থেকে বিরত থাকবে। তাকে মসজিদে আসা-যাওয়ার পথে প্রতি ক্বদমে এক বছরের নফল রোযা ও এক বছরের নফল নামাযের ছাওয়াব দেওয়া হবে।
এমতাবস্থায় কোন মুসল্লি যদি এক হাজার ক্বদম অতিক্রম করে জুম’আ মসজিদে উপস্থিত হয় তাহলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর ওয়াদা মতে মাত্র ছয়টি সহজ আমলের বদলে এক জুম’আতেই হাজার বছরের ইবাদাতের ছাওয়াব পেয়ে যাচ্ছেন।
৭। আপনি কি নেকীর পাল্লা ভারী করতে চান? তা হলে নির্দ্বিধায় পড়ুন-
سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِه سُبْحَانَ الله ِ الْعَظِيْمِ
হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “এমন দু’টি বাক্য আছে, যা দয়াময় আল্লাহর কাছে অতিপ্রিয়, উচ্চারণে অতিসহজ, পাল্লার পরিমাপে অতিভারী। বাক্য দু’টি হল, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজীম’।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
৮। আপনি কি মাত্র এক মিনিটে পবিত্র কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতের ছাওয়াব অর্জন করতে চান? তা হলে পড়ুন- ‘আউযুবিল্লাহ’ ‘বিসমিল্লাহ’সহ
قُلْ هُوَ الله أَحَدٌ – الله ُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ – وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا أَحَدٌ
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “ওই মহান সত্তার শপথ যাঁর অধীনে রয়েছে আমার আত্মা, নিশ্চয় সূরা ইখলাস পুরো কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ।” অর্থাৎ বিশুদ্ধভাবে একবার পড়লে পুরো কুরআন শরীফের তিনভাগের একভাগ পড়ার সমান ছাওয়াব হয়। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
৯। আপনি কি মৃত্যুর পর সরাসরি জান্নাতে চলে যেতে চান? তা হলে প্রত্যেক ফরয নামাযের পর নিয়মিত পাঠ করুন ‘আয়াতুল কুরসী’।
হযরত আবূ উমামাহ রা. হতে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে কেউ প্রত্যেক ফরয নামায শেষে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোন বাধা থাকবে না।” (নাসাঈ শরীফ ও ইবনুস্ সুন্নী)
১০। আপনি কি অভাব-অনটন দূরীভূত করতে চান? তা হলে মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিত সূরা ‘ওয়াক্বিয়া’ তিলাওয়াত করুন।
হযরত আবদুল্লাহ বিন মসউদ রা. হতে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন “যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রে সূরা ‘ওয়াক্বিয়া’ পাঠ করবে, সে কখনও অভাবগ্রস্ত হবে না।” (বায়হাক্বী শরীফ ও ইবনুস্ সুন্নী)
১১। আপনি কি অতি সহজে দৈনন্দিন জীবনের সকল প্রয়োজন পূরণ করতে চান? তা হলে ফজরের পর সূরা ‘ইয়াসীন’ তিলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
হুযূর পাক সা. থেকে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি দিনের অগ্রভাগে সূরা-ই-ইয়াসীন পাঠ করবে, তার সকল উদ্দেশ্য (প্রকৃত পক্ষে যা তার জন্য নগদ উপকারী) পূরণ করা হবে।” (দারেমী শরীফ)
১২। আপনি কি আল্লাহ পাকের অবারিত রহমতের বারিধারা পেতে চান? তা হলে প্রতিক্ষণে পড়ুন- صَلَّى الله ُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হযরত আবূ হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ প্রেরণ করবে, তার প্রতিদানে আল্লাহ পাক তাকে দশটি রহমতে আবৃত করবেন।”(মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফ)
১৩। আপনি কি পথে-ঘাটে, দোকান-পাটে, ঘরে-বাজারে, সভা-সমাবেশে, সর্বত্র, সর্বাবস্থায় অজস্র নেকী কামাই করতে চান? তা হলে পরিচিত-অপরিচিত যে কোন মুসলমানকে দেখামাত্র অন্যান্য সম্ভাষণের পরিবর্তে বিশুদ্ধভাবে বলে উঠুন-
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ الله ِوَبَرَكَاتُه
হযরত ইমরান বিন হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, এক লোক রাসূল সা.-কে সালাম দিলেন- ‘আস্সালামু আলায়কুম’। রাসূল সা. তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন- দশ নেকী! দ্বিতীয় আরেক লোক সালাম করলেন- ‘আস্সালামু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!’ রাসূল সা. তার সালামের জবাব দিয়ে বললেন- বিশ নেকী! তৃতীয় আরেক লোক পুরো সালাম দিলেন। রাসূল সা. তার সালামের জবাব দিয়ে বললেন- ত্রিশ নেকী। (তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ ও নাসাঈ শরীফ)
১৪। আপনি কি বিনা অর্থে ও বিনা কষ্টে নিজসহ অপরজনেরও গুনাহ্ মা’ফ করাতে চান? তা হলে আপনার সাথে কোন মুসলমান মিলিত হলে হাত বাড়িয়ে করমর্দন বা মুসাফাহা করুন।
হযরত বারাআ বিন আযিব রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যখন দু’জন মুসলমান পরস্পর মিলিত হয় এবং (বিশুদ্ধভাবে) সালাম দেওয়ার পর মুসাফাহা করে, তখন উভয়জন পৃথক হওয়ার পূর্বেই তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ শরীফ)
১৫। আপনি কি মাত্র দুই সেকেন্ডে কোটিপতি হতে চান? তা হলে মানুষের দোষচর্চা করে সম্ভ্রম লুট, হেয়প্রতিপন্ন ও অপদস্থ করা হতে বিরত থেকে উন্মুক্ত চিত্তে সকল মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য মাওলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এই জন্য অন্তত একবার বলুন-
হযরত উবাদাহ বিন ছামিত রা. বলেন- আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, “যে লোক মু’মিন নারী-পুরুষের জন্যে প্রভুর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ পাক এর বিনিময়ে তার আমলনামায় সমস্ত মু’মিন নারী-পুরুষের সংখ্যার সমান নেকী লিখে দিবেন।” (মজমাউয্ যাওয়ায়িদ, তাবরানী, জামিউস্ সগীর)
১৬। আপনি কি জাহান্নাম থেকে মুক্তিপত্র পেতে চান? তা হলে দৈনিক ফজরের নামায ও মাগরিবের নামাযের পর সাতবার করে পড়ুন-
اَللّٰهُمَّ أَجِرْنِيْ مِنَ النَّارِ
হযরত হারেছ বিন মুসলিম তামীমী রহ. তাঁর পিতা থেকে, তিনি (পিতা) হুযূর সা. থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদা হুযুর সা. তাকে চুপে চুপে বললেন, “তুমি মাগরিব নামাযের পর কারো সাথে কথা বলার পূর্বে সাতবার বলবে, ‘আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নার’। এটি বলে ঐ রাত্রে তুমি মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তিপত্র লিখে দেওয়া হবে। অনুরূপ ফজরের নামযের পরেও এ দু’আ সাতবার বল। অতঃপর ঐদিন যদি তুমি মারা যাও তা হলে তোমার জন্য দোযখ থেকে মুক্তিপত্র লিখে দেওয়া হবে।” (আবূ দাউদ শরীফ)
১৭। আপনি কি সর্বপ্রকার বালা-মুসীবত, দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি এবং অকল্পনীয় অফুরন্ত রিয্ক প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করতে চান? তা হলে মহান আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অন্ততঃ বিনা কষ্টে পড়তে থাকুন- أَسْتَغْفِرُ اللهَ
হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা. বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনাকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নেয়, মহান আল্লাহ্ তার সব ধরনের মুসীবত ও দুঃসাধ্য বিষয় থেকে পরিত্রাণের রাস্তা বের করে দিবেন, সকল পেরেশানী ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং এমন জায়গা থেকে তাকে রিয্ক দান করবেন যার ব্যাপারে কখনো তার ধারণাও ছিল না।” (মুসনাদে আহমদ, আবূ দাউদ শরীফ ও ইবনে মাজাহ্ শরীফ)
১৮। আপনি কি সম্পূর্ণ নিষ্পাপ অবস্থায় কবরে যেতে চান? তা হলে সবসময় মহান আল্লাহর দরবারে যথা নিয়মে তাওবা করতে থাকুন (যে গুনাহর যেভাবে তাওবাহ করতে হয়)।
হযরত আবদুল্লাহ বিন মাস্উদ রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “গুনাহ্ থেকে তাওবাকারী ওই ব্যক্তির মতো যার কোন গুনাহ্ নেই।” (ইবনে মাজাহ্ শরীফ, তাবরানী ও বায়হাক্বী শরীফ)
তাওবার নিয়ম : বিদ্যমান পাপকর্ম পরিত্যাগ করে নিজের কৃত গুনাহের উপর অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে এ গুনাহ্ আর না করার দৃঢ় অঙ্গীকার করে পরের হক থাকলে যথানিয়মে আদায়পূর্বক মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
১৯। আপনি কি নিশ্চিত জান্নাতবাসী হতে চান? তা হলে সকাল-সন্ধ্যা প্রবল ইয়াক্বীন ও বিশ্বাসের সাথে পড়ুন
হযরত শাদ্দাদ বিন আউস রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “উপরোক্ত দু’আটি সায়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়ার সর্বোচ্চ পন্থা। যদি কেউ পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে দিনের প্রথমভাগে উক্ত দু’আ পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় তবে নিশ্চিত জান্নাতবাসী। আর যদি রাত্রিতেও কেউ এভাবে বিশ্বাসের সাথে পাঠ করে ভোরের আগে মারা যায় তবে নিঃসন্দেহে জান্নাতী।” (বুখারী শরীফ)
২০। আপনি কি চান মুহূর্তের মধ্যে আপনার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হোক? তা হলে সহীহ্-শুদ্ধভাবে অযু করে উপরের দিকে তাকিয়ে পড়ুন-
হযরত ওমর রা. থেকে বর্ণিত : হুযূর সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে অযু করে (অর্থাৎ সুন্নাত তরীকায় মনোযোগের সাথে ভালভাবে অযু করে) এই দু’আ পড়বে, তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে। সে যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছে মতো ঢুকতে পারবে।” (ইবনে মাজাহ্ ও মুসলিম শরীফ)
অন্য হাদীস শরীফে উপরের দিকে তাকিয়ে পড়তে বলা হয়েছে।
২১। আপনি কি আপতিত সমূহ বিপদাপদ ও দুর্যোগ-দুর্ভোগের সময় মহান আল্লাহর সাহায্য পেতে চান? তা হলে বেশি বেশি পড়ুন-
হযরত সা’আদ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “হযরত ইউনুস আ. মাছের পেটে থাকাকালীন উপরোল্লিখিত দু’আটি করেছিলেন; ফলে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁকে নাজাত দিয়েছিলেন। অনুরূপ আমার উম্মতের মধ্যে যে কোন মুসলমান ব্যক্তি মুসীবতগ্রস্ত হয়ে উক্ত দু’আ করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তার দু’আও কবুল করবেন।” (কুরআন শরীফ ও তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, মুস্তাদরাকে হাকিম)
২২। আপনি কি স্বয়ং রাসূল সা.-কে আপনার জন্য জান্নাতের যিম্মাদারী দিতে চান? তা হলে সাবধান! আপনার জিহ্বা ও গুপ্তাঙ্গ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
হযরত সাহ্ল বিন সা’দ রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের হাড়ের মধ্যস্থল অর্থাৎ স্বীয় জিহ্বা এবং দু’পায়ের মধ্যস্থল তথা গুপ্তাঙ্গ এর জামানত আমাকে দিবে, অমি তার জন্য বেহেশতের দায়িত্ব গ্রহণ করব।” (বুখারী শরীফ)
২৩। আপনি কি স্বীয় রিয্ক ও হায়াত বৃদ্ধি করাতে চান? তা হলে ভাল-মন্দ সর্ব হালতে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখুন।
হযরত আনাস বিন মালেক রা. বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন- “যে ব্যক্তি কামনা করে যে, তার রিয্ক প্রশস্ত হোক এবং সে দীর্ঘজীবী হোক, সে যেন আত্মীয়তার বন্ধনকে অটুট রাখে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
২৪। আপনি কি চান আল্লাহ তা’আলা আপনার মান-সম্মান বৃদ্ধি করুক? তা হলে অহংকার ত্যাগ করে বিনয়ী হোন ও মানুষকে ক্ষমা করতে শিখুন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “দান-খয়রাত করলে ধন-সম্পদ হ্রাস পায় না। যে ব্যক্তি (মানুষকে) ক্ষমা করে, মহান আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলাকে খুশী করার উদ্দেশ্যে ন¤্রতা অবলম্বন করে, আল্লাহ পাক তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।” (মুসলিম শরীফ)
২৫। আপনি কি রাতব্যাপী ইবাদতের ছাওয়াব পেতে চান? তা হলে ইশা ও ফজরের নামায জামাতের সাথে আদায় করুন।
হযরত উসমান বিন আফ্ফান রা. বলেন- আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি ইশার নামায জামাতের সাথে পড়ল, সে যেন অর্ধ রাত জেগে আল্লাহ তা’আলার ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে আদায় করল, সে যেন গোটা রাত জেগে আল্লাহ তা’আলারর ইবাদত করল।”(মুসলিম শরীফ)
২৬। আপনি কি সারা দিন মহান আল্লাহর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকতে চান? তা হলে অলসতা ছেড়ে ফজরের নামাযের পাবন্দী করুন।
হযরত জুনদুব বিন আবদিল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের নামায (সময় মত) আদায় করল, সে আল্লাহ পাকের যিম্মাদারী তথা নিরাপত্তায় থাকল।” (মুসলিম শরীফ)
২৭। আপনি কি পুরো বছর রোযা রাখার বিনিময় ও ছাওয়াব পেতে চান? তা হলে প্রতি মাসে শুধু তিনটি রোযা রাখুন।
হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আ’স রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “প্রতি মাসের তিন দিনের রোযা পুরো বছর রোযা রাখার সমতুল্য।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
২৮। আপনি কি কিয়ামতের বিভীষিকাময় মুহূর্তে মহান আল্লাহর আরশের ছায়া তলে আশ্রয় পেতে চান? তা হলে সব ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে মহান আল্লাহ্ পাকের স্বার্থে মানুষকে ভালবাসতে শিখুন।
হযরত আবূ হুরায়রা রা. বলেন : রাসূল সা. বলেছেন, “রোজ ক্বিয়ামতে আল্লাহ পাক বলবেন, আমার মহত্ত্বের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালবাসা স্থাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় আশ্রয় দান করব। আজ এমন দিন যেদিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
২৯। আপনি কি জান্নাতের মধ্যে নিজের জন্য ঘর নির্মাণ করতে চান? তা হলে শুধুমাত্র মহান আল্লাহকে রাজি-খুশী করার লক্ষ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করুন।
হযরত উসমান বিন আফ্ফান রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কবুতর সমমাপের একটি ছোট্ট পাখীর ডিম দেওয়ার গর্ত পরিমাণ অথবা তার চেয়ে ছোট্ট পরিমাণের একটি মসজিদ তৈরী করবে, মহান আল্লাহ জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর তৈরী করে দিবেন।” (ইবনে মাজাহ শরীফ)
৩০। আপনি কি চান মৃত্যুর পরেও আপনার আমলের ছাওয়াব ঝর্ণার ন্যায় প্রবাহমান থাকুক? তা হলে জীবদ্দশায় করে যান সদকায়ে জারিয়াহ। রেখে যান এমন ইল্ম যদ্বারা মানুষ উপকৃত হয়। তৈরী করে যান এমন নেক্কার সন্তান, যে আপনার জন্য দু’আ করবে।
হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তিন প্রকার আমল ছাড়া সকল আমল শেষ হয়ে যায়। কিন্তু যেগুলো শেষ হয় না (ছাওয়াব পৌঁছতে থাকে) তা হলো সদকায়ে জারিয়াহ, এমন ইলম যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হতে থাকে এবং ঐ পূণ্যবান সন্তান যে তার জন্য দু’আ করে।” (মুসলিম শরীফ)
৩১। আপনি কি জান্নাতে নবীজির একান্ত সঙ্গ লাভ করতে চান? তা হলে পিতৃস্নেহ বঞ্চিত বাবা হারা ছিন্নমূল অসহায় ইয়াতীমের প্রতি সদয় হোন। তাদের লালন-পালন ও ভরণ-পোষণের ভার কাঁধে তুলে নিন।
হযরত সাহ্ল বিন সা’দ রা. হতে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “ইয়াতীমের তত্ত্বাবধায়ক এবং আমি জান্নাতে এ দু’ আঙ্গুলের ন্যায় (নিকটবর্তী) অবস্থান করব। এ কথা বলে তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলী দ্বারা (একান্ত নিকটত্ব বুঝাবার জন্য) ইশারা করেন।” (বুখারী শরীফ)
৩২। আপনি কি নিশ্চিত জান্নাত পেতে চান? তা হলে ঝগড়া ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে রক্ষা পাওয়ার স্বার্থে আপনার ন্যায়সংগত দাবি ও নিজের প্রাপ্য হক পরিত্যাগ করুন। উক্ত ত্যাগের বিনিময়ে নবীজি সা. আপনার জন্য জান্নাতের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
হযরত আবূ উমামা রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যবর্তী ঘরের যিম্মাদার, যে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করে। আর যে ব্যক্তি হাসি-তামাসার মধ্যেও মিথ্যা বলে না, আমি তার জন্য জান্নাতের উঁচুস্থানে একটি ঘরের যিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি সদ্ব্যবহার করে, তার জন্য আমি জান্নাতের উচ্চতম স্থানে একটি ঘরের যিম্মাদার। (আবূ দাউদ শরীফ)
৩৩। আপনি কি রাসূলুল্লাহ সা.-এর সঙ্গে হজ¦ করতে চান? তা হলে সামর্থ্য থাকলে পবিত্র রমাযান মাসে উমরাহ্ করতে চেষ্টা করুন।
হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন “রমাযান শরীফের উমরাহ্ হজে¦র বরাবর অথবা আমার সঙ্গে হজ্ব করার সমান।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
৩৪। আপনি কি একদিনে একাধিক রোযা রাখতে চান? তা হলে সাধ্যমত রোযাদারকে ইফতার করান। যতজনকে ইফতার করাবেন ততটি রোযার ছাওয়াব আপনি একা পাবেন।
হযরত যাইদ বিন খালিদ আল-জুহানী রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে লোক কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে তাকে রোযাদারের সমান ছাওয়াব প্রদান করা হবে, রোযাদারের ছাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো ব্যতিরেকে।”(বায়হাক্বী শরীফ)
৩৫। আপনি কি দু’টি বিশাল পাহাড়সম নেকী হাসিল করতে চান? তা হলে কোন মুসলমানের জানাযায় শরীক হোন এবং দাফনকার্যে অংশগ্রহণ করুন।
হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে লোক ঈমান সহকারে ছাওয়াবের আশায় কোন মুসলমানের জানাযার নামাযে অংশগ্রহণ করবে, অতঃপর দাফনকার্য সম্পাদন পর্যন্ত সাথে থাকবে, সে দুই উহুদের পাহাড় সমান ছাওয়াব নিয়ে ফিরবে। আর যে লোক শুধু জানাযা পড়লো, তবে দাফনের পূর্বে ফিরে আসলো সে এক উহুদের পাহাড় সমান ছাওয়াব নিয়ে ফিরবে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
৩৬। আপনি কি সারা বছর রোযা রাখার ছাওয়াব অর্জন করতে চান? তা হলে পবিত্র রমাযানের পরে শাওয়াল মাসে (একাধারে বা সময়-সুযোগ মতে) ছয়টি রোযা রাখুন।
হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমাযান শরীফের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখল, সে যেন পুরো বছর রোযা রাখল।” (মুসলিম ও তিরমিযী শরীফ)
৩৭। আপনি (নারী) কি সহজে জান্নাত পেতে চান? তা হলে মহান আল্লাহর ফরয বিধানসমূহ পালন করুন, নিজ স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখুন এবং সতীত্ব রক্ষার চেষ্টা করুন।
হযরত আবদুর রহমান বিন আউফ রা., হযরত আবূ হুরায়রাহ রা. ও হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “স্ত্রীলোক যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে, রমাযান মাসের রোযা রাখবে, নিজ লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে, তখন সে বেহেশতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে প্রবেশ করতে পারবে।”
(মুস্নাদে আহমদ ও ইবনে হিব্বান, মুসনাদে বয্যার ও আবূ নু’আইম )
৩৮। আপনি (ব্যবসায়ী) কি চান কিয়ামত দিবসে পরের হক ব্যতীত আপনার সমস্ত ছগীরাহ্ গুনাহ্ ক্ষমা হয়ে যাক? তা হলে কেউ বিক্রিত পণ্য ফেরত দিতে চাইলে উদার মনে ফেরত নিয়ে নিন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “যে বিক্রেতা কোন মুসলমানের পক্ষ থেকে ক্রয়-বিক্রয় ভঙ্গ করাকে কবুল করল, আল্লাহ্ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার সমস্ত গুনাহ্ ও অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ ও ইবনে মাজাহ্ শরীফ)
৩৯। আপনি কি সত্তর হাজার ফেরেশ্তার দু’আ ও জান্নাতে একটি বাগান পেতে চান? তা হলে ছাওয়াবের আশায় কোন মুসলমান রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখতে যান।
হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি সকালে কোনো মুসলমান রোগীকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশ্তা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য কল্যাণের দু’আ করতে থাকে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় কোনো মুসলমান রোগীকে দেখতে যায়, (পরবর্তী দিনের) সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশ্তা তার জন্য কল্যাণের দু’আ করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরী করা হয়।” (তিরমিযী শরীফ ও আবু দাউদ শরীফ)
৪০। আপনি কি চান স্বয়ং আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে স্মরণ করুক? তা হলে অহেতুক গল্প-গুজবে লিপ্ত না হয়ে মহান আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকুন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূল সা. বলেছেন, “আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, আমি আমার বান্দার সাথে সেরূপ আচরণ করি, যেরূপ সে আমাকে ধারণা করে। আমি তার সাথে থাকি, যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে আমাকে মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে সেরূপ স্মরণ করি। আর যদি সে আমাকে স্মরণ করে মানুষের সমাবেশে, আমি স্মরণ করি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে।” (অর্থাৎ নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণের সমাবেশে তার আলোচনা করেন)। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
——————–
ভাষান্তর ও সংগ্রহে,
মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ শফিক