বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
١ . إحياء ليلتى العيدين بطاعة الله تعالى .
১ . দুই ঈদের দুই রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগীতে মগ্ন থাকা।
لِـمَا رُوِيَ عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ ، قَالَ : مَنْ قَامَ لَيْلَـتَيِ الْعِيدَيْنِ مُـحْتَسِبًا لِله ، لَمْ يَمُتْ قَلْبُهُ يَوْمَ تَمُوْتُ الْقُلُوْبُ
الحديث ضعيف يعمل به فى فضائل الأعمال. سنن ابن ماجه : ১ / ৭৬৫ ، السنن الكبرى للبيهقي : ৩ / ৫৪৪
অনুবাদ : হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান দুই ঈদের রাত্রে ছাওয়াবের আশায় জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগীতে মগ্ন থাকে তার অন্তর সে দিনও মৃত্যুবরণ করবে না যে দিন সকলের অন্তর মৃত্যুবরণ করবে।” (ইবনে মাজাহ শরীফ : ১/৫৬৭, হাঃ ১৭৮২, বাইহাক্বী শরীফ : ৩/৪৪৫, হাঃ ৬২৯৩)
٢ . الإغتسال لصلاة العيد .
২ . ঈদের নামাযের জন্য গোসল করা।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الْأَضْحٰى. سنن ابن ماجه : ১ / ৪১৭
অনুবাদ : হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন গোসল করতেন। (ইবনে মাজাহ শরীফ : ১/৪১৭, হাঃ ১৩১৫)
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنْ نَافِعٍ : أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَّغْدُوَ إِلَى المـُصَلّٰى. موطأ مالك : ১ / ১৭৭
অনুবাদ : হযরত নাফে রহ. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ফযন ওমর রা. ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। (মুআত্তা মালেক- কিতাবুল ঈদাইন : ১/১৭৭, হাঃ ২)
ج- لِـمَا رَوَى البيهقى عن طريق الشافعى : … سَأَلَ رَجُلٌ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ الْغُسْلِ، … فَقَالَ: يَوْمَ الْـجُمُعَةِ، وَيَوْمَ عَرَفَةَ، وَيَوْمَ النَّحْرِ، وَيَوْمَ الْفِطْرِ . السنن الكبرى للبيهقي : ৩ / ৩৯৩
অনুবাদ : হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহ. ইমাম শাফেয়ী রহ. সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, এক ব্যক্তি হযরত আলী রা.-কে গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। … তখন তিনি বললেন, জুম’আর দিন, আরাফার দিন, ঈদুল আযহার দিন এবং ঈদুল ফিতরের দিন গোসল করবে। (বায়হাক্বী শরীফ : ৩/৩৯৩, হাঃ ৬১২৪)
د- لِـمَا رَوَى الفرْيَابِىُّ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمـُسَيِّبِ أَنَّهُ قَالَ: سُنَّةُ الْفِطْرِ ثَلَاثٌ: اَلْمـَشْىُ إِلَى الْـمُصَلّٰى، وَالْأكْلُ قَبْلَ الْـخُرُوْجِ، وَالْإِغْتِسَالُ. وإسناده صحيح. إرواء الغليل : ৩ / ১০৪
অনুবাদ : হযরত সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব রহ. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের সুন্নাত তিনটি : ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া, বের হওয়ার আগে কোনো কিছু খাওয়া এবং গোসল করা। (ইরওয়াউল গলীল : ৩/১০৪)
٣ . لبس أجمل الثياب وأحسنها حسب المستطاع
৩ . সামর্থ্যানুযায়ী উত্তম ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَتْ لِلنَّبِيِّ ﷺ جُبَّةٌ يَلْبَسُهَا فِي الْعِيدَيْنِ، وَيَوْمِ الْـجُمُعَةِ. صحيح ابن خزيمة : ৩ /১৩২
অনুবাদ : হযরত জাবির বিন আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর একটি জুব্বা ছিল, যা তিনি দুই ঈদ ও জুম’আর দিন পরিধান করতেন। (ইবনে খুযাইমা : ৩/১৩২, হাঃ ১৭৬৬,)
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَرَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَخَذَ عُمَرُ جُبَّةً مِّنْ إِسْتَبْـرَقٍ تُبَاعُ فِي السُّوْقِ، فَأَخَذَهَا، فَأَتٰى بِـهَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ، فَقَالَ: يَا رَسُوْلَ اللهِ، اِبْتَعْ هٰذِهِ ، تَـجَمَّلْ بـِهَا لِلْعِيْدِ وَالوُفُوْدِ. فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : إِنَّمَا هٰذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَّخَلاَقَ لَهُগ্ধ، فَلَبِثَ عُمَرُ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَلْبَثَ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِجُبَّةِ دِيْبَاجٍ، فَأَقْبَلَ بِـهَا عُمَرُ، فَأَتٰى بِـهَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ، فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ: إِنَّكَ قُلْتَ: إِنَّمَا هٰذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَّ خَلاَقَ لَهُ وَأَرْسَلْتَ إِلَـيَّ بِـهٰذِهِ الْـجُبَّةِ، فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ تَبِيعُهَا أَوْ تُصِيبُ بِـهَا حَاجَتَكَ. صحيح البخاري : ২ / ১৬
অনুবাদ : হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, হযরত ওমর রা. বাজারে বিক্রি হচ্ছিল এমন একটি রেশমী জুব্বা নিলেন। অতঃপর তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট নিয়ে এসে বললেন, আয় আল্লাহর রাসূল! আপনি এটি ক্রয় করে নিন, ঈদের সময় এবং প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এটি দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করবেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, “এটি তো তার পোশাক, যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোনো অংশ নেই।” এ ঘটনার পর হযরত ওমর রা. আল্লাহ’র যতদিন ইচ্ছা ততদিন অতিবাহিত করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিকট একটি রেশমী জুব্বা পাঠালেন। হযরত ওমর রা. তা গ্রহণ করেন এবং সেটি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, আয় আল্লাহ’র রাসূল! আপনি তো বলেছিলেন, এটা তার পোশাক যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোনো অংশ নেই। অথচ আপনি এ জুব্বা আমার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, “তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা সেটা দিয়ে তোমার প্রয়োজন পূরণ করবে।” (বুখারী শরীফ : ২/১৬, হাঃ ৯৪৮)
ج- لِـمَا رُوِيَ عَنْ نَافِعٍ رحمه الله : أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَلْبَسُ فِي الْعِيْدَيْنِ أَحْسَنَ ثِيَابِهِ . السنن الكبرى للبيهقي : ৩ / ৮৯৩
অনুবাদ : হযরত নাফে’ রহ. থেকে বর্ণিত : হযরত ইবনে ওমর রা. উভয় ঈদের দিন উত্তম কাপড় পরিধান করতেন। (বাইহাক্বী শরীফ : ৩/৩৯৮, হাঃ ৬১৪৩)
د- لِـمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ – ﷺ – يَلْبَسُ فِي الْعِيْدَيْنِ بُرْدَ حِبَـرَةٍ . المغني لابن قدامة : ২ / ২৭৪
অনুবাদ : হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম দুই ঈদে ইয়ামানী ‘হিবরাহ’ চাদর পরিধান করতেন। (আল-মুগনী : ২/২৭৪)
٤ . التطيب بأحسن الطيب للرجال
৪ . পুরুষগণের আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করা।
لِـمَا رُوِيَ عَنْ زَيْدِ بْنِ الْـحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ الله ِﷺ فِي الْعِيدَيْنِ أَنْ نَلْبَسَ أَجْوَدَ مَا نَجِدُ، وَأَنْ نَتَطَيَّبَ بِأَجْوَدِ مَا نَجِدُ، وَأَنْ نُضَحِّيَ بِأَسْمَنِ مَا نَجِدُ. المستدرك على الصحيحين للحاكم : ৪ / ২৫৬
অনুবাদ : হযরত যাইদ বিন হাসান বিন আলী রা. তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে উভয় ঈদের দিন সামর্থ্যানুযায়ী উত্তম কাপড় পরিধান করার, সামর্থ্যানুযায়ী খুশবো ব্যবহার করার এবং সামর্থ্যানুযায়ী হৃষ্ট-পুষ্ট জন্তু কুরবানী করার নির্দেশ দেন। (মুস্তাদরাকে হাকেম : ৪/২৫৬, হাঃ ৭৫৬০)
٥ . إستخدام السواك يوم العيد .
৫ . মিসওয়াক ব্যবহার করা।
لِـمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ، قَالَ : أَمَا إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ فِي السِّوَاكِ يَوْمَ الْعِيدِ كَهَيْئَتِهِ فِي يَوْمِ الْـجُمُعَةِ. مصنف عبد الرزاق الصنعاني : ৩ /৩০৮
অনুবাদ : হযরত ওমর রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, জুম’আর মতো ঈদের দিনও মিসওয়াক করা সুন্নাত। (মুসান্নাফে আবদুর রয্যাক : ৩/৩০৮, হাঃ ৫৭৪৫)
٦ . أداء صدقة الفطر قبل الصلاة، ويجوز إخراجها قبل ذلك .
৬ . ঈদুল ফিতরে সদকাতুল ফিতর নামাযের পূর্বে আদায় করা।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ زَكَاةَ الفِطْرِ صَاعًا مِنْ تـَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيـْرٍ عَلَى العَبْدِ وَالْـحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأنْثٰى، وَالصَّغِيـْرِ وَالكَبِيـْرِ مِنَ المُسْلِمِيـْنَ، وَأَمَرَ بِـهَا أَنْ تُؤَدّٰى قَبْلَ خُرُوْجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ. الجمع بين الصحيحين : ২ / ২০৪
অনুবাদ : হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সদকাতুল ফিতর হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ‘ফরয’ (নির্ধারণ) করেছেন এবং লোকজনের ঈদের নামাযে বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সম্মিলিত বুখারী ও মুসলিম শরীফ : ২/২০৪, হাঃ ১৩১৫)
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: … وَكَانُوْا يُعْطُوْنَ قَبْلَ الفِطْرِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ. صحيح البخاري :২ / ১৩১
অনুবাদ : হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, তারা (সদকাতুল ফিতর) ঈদের এক বা দুই দিন পূর্বেই আদায় করে দিতেন। (বুখারী শরীফ : ২/১৩১, হাঃ ১৫১১)
٧ . تعجيل الأكل قبل صلاة الفطر وتاخيره يوم الأضحى حتى يأكل من لحم أضحيته .
৭ . ঈদুল ফিতরে নামাযের পূর্বে মিষ্টি দ্রব্য কিংবা বিজোড় সংখ্যক খেজুর-খুরমা আহার করা সুন্নাত। পক্ষান্তরে ঈদুল আযহাতে সকালে কিছু না খেয়ে নামাযের পরে কুরবানীর গোশ্ত দ্বারা আহার করা উত্তম।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَا يَـخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّٰى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ، وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا. صحيح البخاري : ২ / ৭১
অনুবাদ : হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে বের হতেন না আর খেজুরও খেতেন বেজোড়।
(নাসাঈ শরীফ : ২/১৭, হাঃ ৯৫৩ )
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّٰى يَأْكُلَ، وَلَا يَأْكُلُ يَوْمَ الْأَضْحٰى حَتّٰى يَرْجِعَ فَيَأْكُلَ مِنْ أُضْحِيَّتِهِ. مسند أحمد : ৮৩ / ৮৮
অনুবাদ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা রা. তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কোনো কিছু না খাওয়া পর্যন্ত ঈদগাহে যেতেন না। আর ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহ থেকে এসে নিজের কুরবানীকৃত গোশ্ত দিয়ে আহার করা পর্যন্ত কোনো কিছু খেতেন না। (মুসনাদে আহমদ : ৩৮/৮৮, হাঃ ২২৯৮৪
الخروج إلى المصلى مشيا على الأقدام
৮ . ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَرَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يـَخْرُجُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا، وَيَرْجِعُ مَاشِيًا. سنن ابن ماجه : ১ / ১১৪- صحَّحه وحسَّنه الألبانى.
অনুবাদ : হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম পায়ে হেঁটেই ঈদগাহে যেতেন এবং পায়ে হেঁটেই ফিরে আসতেন। (ইবনে মাজাহ শরীফ : ১/৪১১, হাঃ ১২৯৫) আলবানী হাদীসটিকে সহীহ ও হাসান বলেছেন।
ب- لما رُوِيَ عَنْ عَلِـيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ، قَالَ: مِنَ السُّنَّةِ أَنْ تَأْتِيَ الْعِيدَ مَاشِيًا. السنن الكبرى للبيهقي : ৩ / ৮৯৩ وحسَّنه الترمذى .
অনুবাদ : হযরত আলী বিন আবি ত্বালিব রা. থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া সুন্নাত। (বাইহাক্বী শরীফ : ৩/৩৯৮, হাঃ ৬১৪৭)
ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
٩ . الذهاب من طريق إلى المصلى والعودة من طريق آخر، اقتداء بالنبى صلى الله عليه وسلم وإظهارا لشعائر الله .
৯ . ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ الطَّرِيقَ. صحيح البخاري : ২ / ৩২
অনুবাদ : হযরত জাবির বিন আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিন (বাড়ী ফেরার পথে) ভিন্ন পথে আসতেন। (বুখারী শরীফ : ২/২৩, হাঃ ৯৮৬)
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَرَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَخَذَ يَوْمَ الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ، ثُمَّ رَجَعَ فِي طَرِيقٍ آخَرَ. سنن أبي داود :১ / ৩০০ صحّحه الألبانى.
অনুবাদ : হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিন এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে গমন করেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসেন। (আবু দাউদ শরীফ : ১/৩০০, হাঃ ১১৫৬) আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
التكبير ورفع الصوت به فى الطريق إلى المصلى .
১০. ঈদুল ফিতরের দিন নিম্নস্বরে ও ঈদুল আযহার দিন উচ্চস্বরে তাকবীর বলতে বলতে ঈদগাহে যাওয়া এবং নামাযের পরেও তাকবীর বলা।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ: زَيِّنُوْا أَعْيَادَكُمْ بِالتَّكْبِيرِ. المعجم الصغير للطبراني : ১ / ৩৫৭
অনুবাদ : হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা তোমাদের ঈদের দিনকে তাকবীর দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলো।” (ত্ববরানী শরীফ : ১/৩৫৭, হাঃ ৫৯৯)
ب لِـمَا رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَـخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ، فَيُكَبِّـرُ حَتّٰى يَأْتِيَ المُصَلّٰى، وَحَتّٰى يَقْضِـيَ الصَّلَاةَ، فَإِذَا قَضَى الصَّلَاةَ، قَطَعَ التَّكْبِيـرَ. مصنف ابن أبي شيبة : ১ / ৪৮৭ صحّحه الألبانى.
অনুবাদ : হযরত ইমাম জুহরী রহ. থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন তাকবীর বলতে বলতে ঈদগাহে যেতেন। এমন কি নামায পড়া পর্যন্ত তিনি তাকবীর বলতে থাকতেন। যখন নামায আদায় করে নিতেন তখন তাকবীর বলা বন্ধ করে দিতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ১/৪৮৭, হাঃ ৫৬২১) আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
ج- لِـمَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يَـخْرُجُ فِي الْعِيْدَيْنِ مَعَ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَعَبْدِ اللهِ، وَالْعَبَّاسِ، وَعَلِـيٍّ، وَجَعْفَرٍ، وَالْحـَسَنِ، وَالْحـُسَيْـنِ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَزَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، وَأَيْمَنَ بْنِ أُمِّ أَيْمَنَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ رَافِعًا صَوْتَهُ بِالتَّهْلِيلِ وَالتَّكْبِيـْرِ، فَيَأْخُذُ طَرِيقَ الْـحَدَّادِيْنَ حَتّٰى يَأْتِيَ الْـمُصَلّٰى، وَإِذَا فَرَغَ رَجَعَ عَلَى الْـحَذَّائِيـْنَ حَتّٰى يَأْتِيَ مَنْزِلَهُ. السنن الكبرى للبيهقي : ৩ / ৩৯৫
অনুবাদ : হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম হযরত ফযল বিন আব্বাস রা., হযরত আবদুল্লাহ রা., হযরত অব্বাস রা., হযরত আলী রা., হযরত জাফর রা., হযরত হাসান রা., হযরত হোসাইন রা., হযরত উসামা বিন যাইদ রা., হযরত যাইদ বিন হারেসা এবং হযরত আইমান বিন উম্মে আইমান রা.-কে সাথে নিয়ে দুই ঈদের নামাযে বড় আওয়াযে ‘তাহলীল’ ও ‘তাকবীর’ তথা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার বলতে বলতে বের হতেন। ঈদগাহে যাওয়ার সময় কামারদের (গলি) পথ দিয়ে যেতেন আর যখন নামায পড়ে বাড়ীতে ফিরে আসতেন তখন মুচিদের (গলি) পথ দিয়ে আসতেন। (বাইহাক্বী শরীফ : ৩/৩৯৫, হাঃ ৬১৩০)
د- وَذَهَبَ أَبُوْ حَنِيْفَةَ إِلٰى عَدَمِ الْجـَهْرِ بِالتَّكْبِيرِ فِي عِيْدِ الْفِطْرِ؛ لأِنَّ الأصْلَ فِي الثَّنَاءِ الإِخْفَاءُ؛ لِقَوْلِهِ تَعَالٰى : [وَاذْكُرْ رَبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرّ ُُّعًا وَخِيْفَةً وَدُوْنَ الْـجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ]، وَقَوْلِهِ ﷺ: خَيـْرُ الذِّكْرِ الْخـَفِيُّ ، وَلأنَّهُ أَقْرَبُ مِنَ الأَدَبِ وَالْـخُشُوْعِ، وَأَبْعَدُ مِنَ الرِّيَاءِ. الموسوعة الفقهية الكويتية : ৩১ / ২১৪
١١ . أن يصلي العيدين فى المصلى خارج المسجد .
১১ . ঈদের নামায মসজিদের বাইরে ঈদগাহে পড়া।
لِـمَا رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدِ نِالخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحٰى إِلَى المُصَلّٰى، فَأَوَّلُ شَـيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ. صحيح البخاري : ২ / ১৮
অনুবাদ : হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে যেতেন এবং সেখানে তিনি প্রথম যে কাজটি দিয়ে শুরু করতেন তা হলো নামায। (বুখারী শরীফ : ২/১৮, হাঃ ৯৫৬)
. التبكير إلى المصلى للماموم والتاخير إلى بداية وقت الصلاة للإمام .
১২. মুসল্লিগণের সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। ইমাম সাহেবের জন্য নামায শুরু হওয়ার পূর্বে যাওয়া।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ أَبِي عُمَيـْرِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنْ عُمُوْمَةٍ لَهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ : أَنَّ رَكْبًا جَاءُوْا إِلَى النَّبِيِّ ﷺ يَشْهَدُوْنَ أَنَّـهُمْ رَأَوُا الْهِلَالَ بِالْأمْسِ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُّفْطِرُوْا، وَإِذَا أَصْبَحُوْا أَنْ يَّغْدُوْا إِلٰى مُصَلَّاهُمْ. سنن أبي داود : ১ / ৩০০
অনুবাদ : হযরত আবু ওমাইর বিন আনাস রহ. তাঁর চাচা, যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবী ছিলেন, থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে একদল আরোহী এসে সাক্ষ্য দিলো যে, গতকাল তারা (ঈদের) চাঁদ দেখেছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে রোযা ভেঙ্গে ফেলার এবং পরদিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। (আবু দাউদ শরীফ : ১/৩০০, হাঃ ১১৫৭)
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ نِ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَـخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحٰى إِلَى المُصَلّٰى، فَأَوَّلُ شَـيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ. صحيح البخاري : ২ / ১৮
অনুবাদ : হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে যেতেন এবং সেখানে তিনি প্রথম যে কাজটি দিয়ে শুরু করতেন তা হলো নামায। (বুখারী শরীফ : ২/১৮, হাঃ ৯৫৬)
التهنئة بأي لفظ مباح، وأفضلها تقبَّل الله منَّا ومنْكم ، لأن هذا هو الوارد عن الصحابة رضوان الله عليهم أجمعين.
১৩. ঈদ উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা নিবেদন করা।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، قَالَ: لَقِيْتُ وَاثِلَةَ بْنَ الْأَسْقَعِ فِيْ يَوْمِ عِيْدٍ، فَقُلْتُ: تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ ، فَقَالَ: نَعَمْ، تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ ، قَالَ وَاثِلَةُ: لَقِيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَوْمَ عِيْدٍ فَقُلْتُ : تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ ، فَقَالَ: نَعَمْ، تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ. السنن الكبرى للبيهقي : ৩ / ৪৪৬
অনুবাদ : হযরত খালেদ বিন মা’দান রহ. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, ঈদের দিন আমি ওয়াছেলা বিন আসক্বা রা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করি। আমি বল্লাম,تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ (আল্লাহ তা’আলা আমাদের ও আপনার পক্ষ থেকে কবূল করুন)। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ, تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ (আল্লাহ তা’আলা আমাদের ও আপনার পক্ষ থেকেও কবূল করুন)। ওয়াছেলা রা. বলেন, ঈদের দিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎকালে বললাম- تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ তিনিও (উত্তরে) বললেন- تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ । (বাইহাক্বী শরীফ : ৩/৪৪৬, হাঃ ৬২৯৪)
ب- لِـمَا رُوِيَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ ، قَالَ : كَانَ أَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ إِذَا الْتَقَوْا يَوْمَ الْعِيْدِ ، يَقُوْلُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ : تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ. فتح الباري لابن حجر : ২ / ৪৪৬
অনুবাদ : হযরত জুবাইর বিন নুফাইর রহ. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগণ ঈদের দিন যখন পরস্পর মিলিত হতেন তখন একে অপরকে বলতেন- تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَ। (ফতহুল বারী লি-ইবনে হাজর : ২/৪৪৬)
صيغ التكبير الثابتة عن الصحابة رضوان الله تعالى عليهم أجمعين
اَللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، وَلِله الْـحَمْدُ
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُكَبِّـرُ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ : اَللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، وَلِله الْـحَمْدُ. مصنف ابن أبي شيبة : ১ / ৪৯০
অনুবাদ : হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত: তিনি আইয়্যামে তাশরীকে এই তাকবীর বলতেন-
اَللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، وَلِله الْـحَمْدُ
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ১/৪৯০, হাঃ ৫৬৫১)
كما ثبت تثليث التكبير عنه فى مكان آخر
অন্য বর্ণনা মতে, প্রথম পর্যায়ে ‘আল্লাহু আকবার’ তিনবার বলারও প্রমাণ আছে।
أ- لِـمَا رُوِيَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُوْنَ، قَالَ : أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ : أَنَّ الْـحَسَنَ كَانَ يُكَبِّـرُ اَللهُ أَكْبَـرْ، اَللهُ أَكْبَـرْ، ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. مصنف ابن أبي شيبة : ১ / ৪৯০
অনুবাদ : হযরত ইয়াযীদ বিন হারুন রা. থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, আমাকে হুমাইদ জানিয়েছেন যে, হযরত হাসান রা. তিনবার তাকবীর বলতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ১/৪৯০, হাঃ ৫৬৫৪)
تـكـبـيـر أيَّـام الـعـيـديـن ووقـتـه
দুই ঈদের তাকবীর বলার বিধান ও সময়
দুই ঈদের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহ পর্যন্ত তাকবীর বলার কথা তো উল্লেখ করা হয়েছে, তবে যিলহজ্ব মাসের নয় তারিখের ফজরের নামাযের পর থেকে ১৩ তারিখের আসরের নামায পরবর্তী সময় পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর পর সকল সাবালক পুরুষ-মহিলার উপর একবার (উক্ত) তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব; তিনবার বলা ওয়াজিব নয়। পুরুষগণ উচ্চস্বরে আর মহিলাগণ নিম্নস্বরে বলবেন। ইমাম সাহেব কোন কারণে ভুলে গেলেও মুক্তাদীগণ স্ব-স্ব উদ্যোগে বলে ফেলবেন।
كيـفـية صـلاة العـيـدين
ঈদের নামায পড়ার নিয়ম
প্রথমে এভাবে নিয়্যত করবে যে, আমি ঈদুল ফিতর/ঈদুল আযহার দুই রক’আত ওয়াজিব নামায অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সাথে ক্বিবলামুখী হয়ে এই ইমামের পেছনে আদায় করছি। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে পূর্ণ ‘সুবহানাকা’ পাঠ করতঃ তিন বার আল্লাহু আকবার বলবে। প্রত্যেক বারে দুই হাত কান পর্যন্ত তুলবে এবং প্রতিবারের পর তিন বার ‘সুবহানাল্লাহ’ পড়া যায় মতো সময় বিরতি দিবে। তৃতীয়বারে হাত নামিয়ে নাভীর নীচে বেঁধে নিবে। অতঃপর ইমাম সাহেব ‘আউযু বিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করে সূরা ফাতিহা শুরু করবেন এবং যথানিয়মে প্রথম রক’আত শেষ করবেন।
দ্বিতীয় রক’আতে সূরা-ক্বিরাত শেষ করে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে উপরোক্ত নিয়মে আবার তিন বার আল্লাহু আকবার বলবে এবং তৃতীয়বারে হাত ছেড়ে দিয়ে আরেকবার আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবেন। এছাড়া অন্য নামাযের সাথে আর কোন ফারাক নেই। নামায শেষে ইমাম সাহেব সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে দুইটি খুতবা দান করবেন।
উল্লেখ্য যে, দুই ঈদের নামাযের ক্বিরাআতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সূরাতুল আ’লা, সূরাতুল গাশিয়া, সূরা ক্বাফ ও সূরাতুল ক্বমর -এই সূরাগুলো পড়তেন বিধায় নবীজির (সা.) অনুসরণে এগুলো পড়া উত্তম।
সৌজন্যে
মু’আল্লিমুস সুন্নাহ
সম্পাদনায়
মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ শফিক
খাদিমে দারুল ইফতা
আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া টেকনাফ
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, কক্সবাজার, বাংলাদেশ
মোবাইল : ০১৮১৭০০৯৩৮৩
হোয়াটসঅ্যাপ : ০১৮৬৮৫১৫১৫১
তারিখ : ২৮ শে রমাযানুল মুবারক ১৪৪৪ হিজরী
মুতাবিক ২০/০৪/২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ