بسم الله الرحمن الرحيم
الحمدلله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى أمابعد
আমরা বিভিন্ন সূত্রে অবগত হয়েছি, বর্তমান বাংলাদেশে একটি পরিকল্পিত হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে আসন্ন ১৫ই রমাযানের জুম’আবার রাত্রের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রকারের গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
গ্রহণযোগ্য ওলামা-ই-কিরাম উক্ত উদ্ধৃত হাদীসের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন, হাদীসটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, জাল ও বানোয়াট। কোন সহীহ হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম থেকে এরকম বর্ণনা পাওয়া যায়নি।
যুগের ইমাম পর্যায়ের আলেমগণ আরো লিখেছেন, এই বছরের মতো আরো অসংখ্যাবার এরকম হয়েছে কোন বারেই কোন ঘটনা হয়নাই।
আমরা আশা করছি এবছরও কিছু হবে না ইনশাআল্লাহ। কখন কি হবে আল্লাহ তা’আলা বেশি জানেন। তবে কুরআন শরীফ ও সহীহ হাদীস শরীফে “রমাযানুল মুবারকের মাঝখানে শুক্রবার পড়লে রাত্রে বিকট শব্দ হবে অতঃপর ফজরের নামাযের পরে কেউ বের হবে না”- এমন বর্ণনা পাওয়া যায়নি।
সম্মানিত পাঠকদের কাছে জানতে চাই৷
সবদেশে তো শুক্রবার রমাযান মাসের মাঝামাঝি নয়৷ অতএব, বিপদ কি শুধু বাংলাদেশে আসবে?
আসলে যদি কিছু না ঘটে অপপ্রচারকারীরা জাতিকে মুখ দেখাবে কেমনে?
এ বিষয়ে দেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান “বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে”র শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক বর্তমানে পবিত্র ওমরা উপলক্ষ্যে মক্কা শরীফে অবস্থানরত আল্লামা মুফতি হাফেজ এনামুল হক কাসেমী সাহেব দামত বারকাতুহুমের হোয়াটসঅ্যাপে (০১৭৭০০৮৭৯৮১) যোগাযোগ করা হলে তিনি হারাম শরীফ থেকে বলেন, রমাযান মাসের মাঝামাঝি শুক্রবারে বিকট শব্দ শুনা যাবে অতঃপর ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে কোন সহীহ হাদীস শরীফ পাওয়া যায়নি। আমি মনে করি বর্তমানে যা ছড়ানো হচ্ছে সম্পূর্ণ ভুয়া।
বি: দ্র: রমাযান মাসের মাঝামাঝি শুক্রবারে অঘটন সম্পর্কে কোন সহীহ হাদীস শরীফ কেউ পেয়ে থাকলে জাতির কল্যাণে প্রচার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল৷
আরজগুজার
মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ শফিক
খাদিমে দারুল ইফতা, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া টেকনাফ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ
০১৮১৭০০৯৩৮৩