মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক
১। আল্লাহ তা’আলার উপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন : الإيمان
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَىٰ آمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوْا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ. (الأعراف: ٩٦)
“যদি সে সকল জনপদের অধিবাসীবৃন্দ ঈমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশম-লী ও পৃথিবীর কল্যাণ উন্মুক্ত করতাম, কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল; সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি।” (সূরা আ’রাফ, আয়াত : ৯৬)
২। তাক্বওয়া-পরহেযগারী অবলম্বন :
التقوىٰ
وَمَنْ يَتَّقِ اللّٰهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا – وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللّٰهِ فَهُوَ حَسْبُهُ﴾ (الطلاق: ٢ـ٣)
“যে কেউ আল্লাহ পাককে ভয় করে আল্লাহ তা‘আলা তার পথ করে দিবেন, এবং তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রিযিক দান করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের উপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।” (সূরা ত্বালাক, আয়াত: ০২-০৩)
৩। আল্লাহ তা‘আলার বিধি-বিধান পালন এবং তার উপর অবিচল থাকা:
إقامة شرع الله والإستقامة على دينه
وَلَوْ أَنَّهُمْ أَقَامُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ مِنْ رَبِّهِمْ لَأَكَلُوا مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ تَحْتِ أَرْجُلِهِمْ مِنْهُمْ أُمَّةٌ مُقْتَصِدَةٌ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ سَاءَ مَا يَعْمَلُونَ. [المائدة: ٦٦]
“তারা যদি তাওরাত, ইঞ্জীল ও তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রতিষ্ঠিত করত, তাহলে তারা তাদের উপর ও পদতল হতে আহার্য লাভ করত। তাদের মধ্যে একদল রয়েছে যারা মধ্যপন্থী; কিন্তু তাদের অধিকাংশ যা করে তা নিকৃষ্ট।” (সূরা মায়েদা, আয়াত : ৬৬)
৪। বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা :
الإستغفار
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا- يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا- وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا﴾ [نوح: ١٠ -١٢]
“আমি বলেছি, তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো মহা ক্ষমাশীল, ‘তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, ‘তিনি তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।” (সূরা নূহ, আয়াত : ১০-১২)
৫। আল্লাহ তা‘আলার সকল অবদানের প্রতি পূর্ণ কৃতজ্ঞ হওয়া :
الشكر
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِيْ لَشَدِيْدٌ﴾ [إبراهيم: ٧]
“স্মরণ কর, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দিব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।” (সূরা ইবরাহীম, আয়াত : ০৭)
৬। আল্লাহ তা‘আলার পথে নিজ সম্পদ ব্যয় করা : الإنفاق في سبيل الله
وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ﴾ [سبأ: ٣٩]
“তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি (গায়বী খাজানা থেকে) তার প্রতিদান দিবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।” (সূরা সাবা, আয়াত : ৩৯)
৭। ইসলামী বিধান মতে বিবাহ করা :
النكاح
وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُوْنُوْا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ﴾ [النور: ٣٢]
“তোমাদের মধ্যে যারা ‘আয়্যিম (যে পুরুষের স্ত্রী নাই অথবা যে নারীর স্বামী নাই) তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ পাক নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন; আল্লাহ্ পাক তো প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” (সূরা নূর, আয়াত : ৩২)
৮। ঈমান রক্ষার্থে দেশ ত্যাগ করা :
الهجرة فى سبيل الله
وَمَنْ يُهَاجِرْ فِي سَبِيلِ اللّٰهِ يَجِدْ فِي الْأَرْضِ مُرَاغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةً وَمَنْ يَخْرُجْ مِنْ بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللهِ وَكَانَ اللهُ غَفُورًا رَحِيمًا﴾ [النساء: ١٠٠]
“কেউ আল্লাহ পাকের পথে (ঈমান রক্ষার্থে) হিজরত করলে সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য লাভ করবে এবং কেউ আল্লাহ্ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে নিজ গৃহ হতে মুহাজির হয়ে বের হলে এবং তার মৃত্যু ঘটলে তার পুরস্কারের ভার আল্লাহ পাকের উপর; আল্লাহ পাক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা নিসা, আয়াত : ১০০)
৯। নিজ পরিবার-পরিজনকে নামাযের আদেশ দেওয়া :
أمر الأهل بالصلاة
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى. (طه: ١٣٢)
“এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও তাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাই না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।” (সূরা ত্বহা, আয়াত : ১৩২)
১০। আত্মীয়তা রক্ষা করা :
صلة الرحم
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنهما، قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: مَنْ سَرَّه أَنْ يُبْسَطَ عَلَيْهِ رِزْقُه أَوْ يُنْسَأَ لَهُ فِيْ أَثَرِه فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ. (متفق عليه)
‘হযরত আনাস বিন মালেক রা. সূত্রে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে তার রিযিক বৃদ্ধি ও হায়াত বৃদ্ধি কামনা করে, সে যেন রেহেম তথা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।’’ (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
১১। অধিক হারে দান-সদকা করা :
كثرة الصدقة
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ (متفق عليه)
‘হযরত আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘সদকা মালকে হ্রাস করে না।’’ (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
১২। অসহায়দের সাহায্য করা :
الإحسان إلى الضعفاء
عَنْ مُصْعَب بْنِ سَعَدٍ ، قَالَ: رَأَى سَعْدٌ رضي الله أَنَّ لَه فَضْلًا عَلَىٰ مَنْ دُوْنَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: هَلْ تُنْصَرُوْنَ وَتُرْزَقُوْنَ إِلَّا بِضُعَفَائِكُمْ. (رواه البخارى)
“হযরত মুছ‘আব বিন সা‘আদ রা. সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, সা‘আদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রা. মনে করতেন যে, অন্যান্যদের তুলনায় তার মর্যাদা বেশি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে যারা দুর্বল ও অসহায় তাদের কারণেই তোমরা সহায়তা ও রিযিক পেয়ে থাক।’ (বুখারী শরীফ)
১৩। আল্লাহ তা‘আলার পথে ব্যয় করা :
الإنفاق في سبيل الله
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: قَالَ اللهُ تعالى : يَا ابْنَ آدَمَ أَنْفِقْ أُنْفِقَ عَلَيْكَ. (متفق عليه)
‘হযরত আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ করেন, ‘হে আদম সন্তান তুমি দান কর, আমিও তোমাকে দান করব।’’ (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
১৪। বেচা-কেনায় সততা অবলম্বন :
الصدق والتبيين
عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ ، عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : الْبَيِّعَانِ بِالْـخِيَارِ مَا لَـمْ يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُوْرِكَ لَـهُمَا فِيْ بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا. (متفق عليه)
‘হযরত হাকীম বিন হিযাম রা. সূত্রে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে ততক্ষণ তাদের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তারা সত্য বলে ও যথাযথ অবস্থা বর্ণনা করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে। আর যদি পণ্যের প্রকৃত অবস্থা গোপন করে ও মিথ্যা বলে তবে ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত চলে যাবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
১৫। বেশি বেশি হজ্ব ও ওমরাহ করা : الإكثار من الحج والعمرة والمتابعة بينهما
عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ : قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: تَابِعُوْا بَيْنَ الْـحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوْبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيْرُ خَبَثَ الْـحَدِيْدِ. (رواه النسائي)
‘হযরত আমর বিৱ দীনার সূত্রে বর্ণিত : তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা হজ্ব ও ওমরা পরপর পালন কর। কেননা এ দুটি (হজ্ব ও ওমরা) দারিদ্র ও গুনাহসমূহ এমনভাবে দূর করে দেয় যেমন কামারের হাপর লোহার ময়লা দূর করে দেয়।’’ (নাসাঈ শরীফ)
১৬। রুজি-রোজগারের যে কোন উপায় অবলম্বনপূর্বক আল্লাহ তা‘আলা উপর পরিপূর্ণ ভরসা করা : التوكل على الله مع الأخذبأساب الرزق
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْـخَطَّابِ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلي الله عليه وسلم: لَوْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَوَكَّلُوْنَ عَلَى اللهِ حَقَّ تَوَكُّلِه لَرَزَقَكُمْ كَمَا يُرْزَقُ الطَّيْرُ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوْحُ بِطَانًا. (رواه الترمذى)
‘হযরত উমর বিন খত্তাব রা. সূত্রে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি যথার্থভাবে আল্লাহর উপর ভরসা-তাওয়াক্কুল করতে পার, তাহলে আল্লাহ তোমাদের রিযিক দেবেন যেমনি রিযিক দিয়ে থাকেন পাখিকুলকে, পাখি সকালে শূন্য উদরে বের হয় আর সন্ধায় নীড়ে ফিরে আসে উদরপূর্তি করে।’’ (তিরমিযী শরীফ)
১৭। দ্বীনি শিক্ষা অর্জনকারীদের জন্য অর্থ ব্যয় করা : الإنفاق على طلبة العلم
عَنْ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رضي الله عنهما ، قال : كَانَ أَخَوَانِ عَلَىٰ عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَكَانَ أَحَدُهُمَا يَأْتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَالْآخَرُ يَحْتَرِفُ فَشَكى الْـمُحْتَرِفُ أَخَاهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: لَعَلَّكَ تُرْزَقُ بِهِ. (رواه الترمذى)
‘হযরত আনাস রা. সূত্রে বর্ণিত : তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে (দ্বীন শিক্ষার জন্য) আসত এবং আর একজন হাতের কোন কাজ করে উপার্জন করত। অতঃপর উপার্জনকারী (ভাই) নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে তার (শিক্ষার্থী) ভাইয়ের (কাজ না করার) অভিযোগ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সম্ভবত: তোমাকে তার কারণেই রুযী দেওয়া হচ্ছে।’’ (তিরমিযী শরীফ)
১৮। মহান আল্লাহ তা‘আলার শাহী দরবারে খাঁটি মনে দু‘আ করা : الدعاء
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُوْلُ إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ حِيْنَ يُسَلِّمُ: اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا. (رواه إبن ماجه)
‘হযরত উম্মে সালমা রা. সূত্রে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামা ফজরের নামায পড়ার পর বলতেন, اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
‘আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী ইলম, পবিত্র রিযিক এবং গ্রহণযোগ্য আমল কামনা করছি।’’ (ইবনে মাজাহ শরীফ)
১৯। আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত-বন্দেগীর জন্য নিজেকে অবমুক্ত রাখা :
التفرغ لعبادة الله تعالى
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه ، عَن النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إِنَّ اللهَ تَعَالَىٰ يَقُولُ : يَا ابْنَ آدَمَ تَفَرَّغْ لِعِبَادَتِيْ أَمْلأْ صَدْرَكَ غِنًى، وَأَسُدَّ فَقْرَكَ، وَإِلاَّ تَفْعَلْ مَلَأَتُ صَدْرَكَ شُغْلاً وَلَـمْ أَسُدَّ فَقْرَكَ. (رواه الترمذى)
‘হযরত আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদাত-আনুগত্যের জন্য সময় বের করে নাও; আমি তোমার অন্তরকে ধনাঢ্যতায় ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্রতা মোচন করে দেব। অন্যথায় তোমাকে বিভিন্ন ব্যস্ততায় ব্যস্ত করে দেব এবং দারিদ্রতাও দূর করব না।’’ (তিরমিযী শরীফ)
২০। রিযিক অন্বেষণে সকাল-সকাল বের হওয়া : التبكير فى طلب الرزق
عَنْ صَخَرِ بْنِ وَدَاعَةِ الْغَامِدِيِّ ، عَنِ النَّبِىِّ قَالَ: اللّٰهُمَّ بَارِكْ لأُمَّتِيْ فِيْ بُكُوْرِهَا. (رواه أبو داود)
‘হযরত ছখর বিন অদা‘আ আল-গামেদী রা. সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলতেন, ‘আয় আল্লাহ! আমার উম্মত দিনের শুরুতে যে কাজ করবে, তাতে বরকত দাও।’’ (আবু দাউদ শরীফ)
সংগৃহীত
আশ-শফিক স্মারক ১৪৩৮ হিজরী ২০১৭ খ্রি.
…………..
সংকলনে
মাওলানা মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক
সম্পাদক ও প্রকাশক, মাসিক আল-আবরার ঢাকা
সম্পাদক, দৈনিক সাগর দেশ কক্সবাজার
তারিখ : ৩০/০৩/২০২৩ ইং